
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল। এ দাবিকে ঘিরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় চলছে বিক্ষোভমুখর জনসমাবেশ। সেখানে নেতা–কর্মীদের ‘গণভোট, গণভোট’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে পল্টন মোড়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্ঠনি দিয়ে রেখেছে।
এ সময় নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ভোটের আগে গণভোট আয়োজন করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আর আমরা যদি আন্দোলনের ডাক দেই, তবে আপনি পালানোর পথ পাবেন না।
সমাবেশ শেষে দলের শীর্ষ নেতারা যমুনা ভবনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করবেন।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি একই দাবিতে পল্টনে জড়ো হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য এখানে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে দশটার দিকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তার নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে অংশ নেন।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া হারিস উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের মতামত ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনগণের রায়ের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চাই।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্মারকলিপি প্রদানকারী আটটি দল হলো– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।





